জাতীয়

চাকরি ফিরে পেতে দুদকে আবেদন করলেন শরীফ উদ্দিন

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অপসারিত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন চৌধুরী চাকরি ফিরে কমিশনে আবেদন করেছেন। চাকরি হারানোর ১১ দিন পর রোববার সকালে (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি দুদকে লিখিত আবেদন দেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর রিভিউ আবেদনে শরীফ উল্লেখ করেন, ‘আমি ১২ অক্টোবর ২০১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দুদকে বিশ্বস্ততা, অধ্যবসায় ও সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। এ সময়ে আমি আমার সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে ৭০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ মামলা সুপারিশ করে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অবৈধভাবে পাসপোর্ট ও এনআইডি প্রদানের ২০টি মামলা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা (এলএ), পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগের দুর্নীতির মামলা ও সম্পদের অনুসন্ধান, স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মামলা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু ও সুপারিশ করেছি।’

আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চট্টগ্রাম কর্মরত থাকাকালীন আমার কাছে প্রায় ৭০টি অভিযোগের অনুসন্ধান ও ৪২টি মামলার তদন্তভার ছিল। এর বাইরে প্রধান কার্যালয়ের রোহিঙ্গাদের এনআইডি ও পাসপোর্ট প্রদান বিষয়ক ছয়টি অভিযোগের অনুসন্ধান টিমের সদস্য, মাহিনী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড বিষয়ক অভিযোগের অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্য, ১৫৭ প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাঁকখালী নদী দখল, চট্টগ্রাম এলএ শাখার দুর্নীতির বিপরীতে মামলা করার সুপারিশ, মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান, মহেশখালীর ২৭ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।’

আবেদনে শরীফ অপসারণের আগে কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি জানিয়ে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আজ (রোববার) সকালে আমার অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছি। দুদক আবেদনটি গ্রহণ করেছেন। আশা করি, কমিশন আমার প্রতি সদয় হবেন। আমি ন্যায়বিচারের মাধ্যমে চাকরি ফিরে পাবো। দুদকের চাকরিবিধি অনুযায়ী অপসারণের বিরুদ্ধে কমিশনে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এটি দুদক চাকরিবিধির ৪৮ ধারায় উল্লেখ রয়েছে।’

তবে এ বিষয়ে জানতে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনো আবেদনটি আমি হাতে পাইনি। বিষয়টি নিয়ে অবগত নই।’

উল্লেখ্য, শরীফ দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে থাকার সময় নানা তদন্ত চালিয়ে আলোচিত হন। তাকে সেখান থেকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button