
বরগুনা প্রতিনিধি: বিয়ের দাবিতে ঢাকার উত্তরা থেকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীতে এসে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া জামালপুরের তরুণীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি।
আইনজীবী রাব্বি বলেন, ঢাকার উত্তরা থেকে আসা জামালপুরের ওই তরুণী গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার একটি ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত এক ছাত্রের বাড়ি বরগুনার চান্দখালীতে এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন।
তিনি নিজেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী পরিচয় দেন। পরবর্তীতে ওই যুবকের মামাকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়দের সহায়তা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন তিনি।
সেখানে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবি মেনে না নিলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ওই যুবকের বাবা–মা ওই বাসায় আসার পর তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে ও স্থানীয়দের সহায়তায় জিম্মি করা হয়।
পরে যুবকের বাবা–মা ওই তরুণীকে তাঁর আগের বিয়ের তালাকনামা, বৈধ অভিভাবক হাজির করা ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলা উল্লেখ করে তিনটি শর্ত দেন এবং এসব শর্ত পূরণ করলে বিয়ের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
কিন্তু তরুণী শর্ত ভেঙে গণমাধ্যমে কথা বলা চালিয়ে যায় এবং বিয়ের তালাকনামা ও অভিভাবক হাজির করতে ব্যর্থ হয়ে উল্টো আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকে।
এ অবস্থায় ওই যুবকের বাবা মঙ্গলবার বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন।
মামলার বাদী ও যুবকের বাবা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ওই তরুণী নিজেকে একটি ভার্সিটির আইন বিভাগে অধ্যয়নরত ও অবিবাহিত দাবি করে আমার ছেলেকে বিয়ের দাবিতে চান্দখালীতে আমার ভাড়া বাসায় এসে অবস্থান নেয়। আমরা তরুণীকে শর্ত দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে উল্টো আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আমাদের হয়রানি করে আসছে। আমরা তাঁর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়েছি।
এমনকি সে ভার্সিটিতে পড়াশোনার বিষয়টি মিথ্যে বলেছে। তার আগের বিয়ের বিষয়টিও আমাদের কাছে গোপন করেছিল। পরে গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা সব জানতে পারি। এ অবস্থায় আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি। আদালত আদেশ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে বেতাগী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘আমি এখনো আদালতের আদেশ হাতে পাইনি। আদেশ পেলে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’