দেশের খবররাজশাহী

শাহজাদপুরে জোড়পূর্বক সহবাস করায় স্বামীর গোপনাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ

রাজিব আহমেদ রাসেল, স্টাফ রিপোর্টার: সহবাসে বাঁধা দেয়ার পরও জোর করে সহবাস করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী সু্িষ্মতা ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামী রবিউলের গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে।

শনিবার (২৫ জুন) গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রাসাদ দক্ষিণপাড়া মহল্লার সাঈদ প্রামাণিকের বাড়িতে। গভীর রাতে স্বামী রবিউলের আত্মচিৎকারে স্বজনেরা ঘুম থেকে উঠে শংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

আহত রবিউল ওই মহল্লার সাঈদ প্রামাণিকের ছেলে বলে জানা গেছে। গোপনাঙ্গে ১০টি শেলাই দেয়ায় তার অবস্থা গুরুতর, এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আহত রবিউলের মা তারিক খাতুন, বড়মা সুফিয়া খাতুন ও বোন শারমীনসহ স্বজনেরা জানায়, প্রায় ৮ মাস পূর্বে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের বেড়াকুচুটিয়া গ্রামের সেরাজুল ইসলামের মেয়ে সুষ্মিতা খাতুন (২২)’র সাথে উপজেলার গঙ্গাপ্রাসাদ এলাকার সাঈদ প্রামাণিকের ছেলে রবিউল (২৬)’র বিয়ে হয়।

গত ২ মাস পূর্বে স্মার্টফোন ভেঙ্গে ফেলায় রাগে ক্ষোভে সুষ্মিতা নিজেই শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এছাড়া কিছুদিন পূর্বেও সুষ্মিতা স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র রাত্রিযাপন করে। ঘটনার পরদিন সুষ্মিতার পরিবারের হস্তক্ষেপে তাকে স্বামীর বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। এক পর্যায়ে গত শনিবার গভীর রাতে সহবাসে বাঁধা দেয়ায় ধারালো ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেন স্ত্রী সুষ্মিতা।

এ বিষয়ে সুষ্মিতার দাবী, ‘শরীর খারাপ থাকায় সহবাস করতে স্বামী রবিউলকে বারণ করলেও রবিউল তাতে কর্ণপাত না করে শনিবার রাত ১১ টার দিকে সুষ্মিতার সাথে সহবাস করে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম না আসায় ব্লেড দিয়ে নখ কাটতে কাটতে রাত ২ টার দিকে স্বামীর গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশতঃ স্বামীর লিঙ্গ কেটে যায়।’

এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত রবিউল সাংবাদিকদের জানান,‘সুষ্মিতা সন্ধ্যার সময় একটি ব্লেড কিনে দিতে বললে তা কিনে দেই। রাত ১১ টার দিকে সহবাস শেষে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ২ টার দিকে প্রচন্ড ব্যথায় ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতে পাই সুষ্মিতা ব্লেড দিয়ে আমার গোপনাঙ্গ কর্তন করেছে, এ সময় শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। সুষ্মিতা ইচ্ছে করেই এটা করেছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button